শুভেচ্ছা বক্তব্য
“জন্মিলেই শুধু হয় না মানব; মানুষ করে যে শিক্ষা
বিদ্যায়তন খুলিয়া আমরা দেই যে প্রাণের দীক্ষা।”
শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য কোমলমতি শিশু-কিশোরদের চরিত্র গঠন করা। শিক্ষাই আমাদের অন্তরচোখ খুলে মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধন করে। বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জবিনের কর্তব্যপথ দেখিয়ে দিয়ে তাদের যোগ্য,দৃষ্টিসম্পন্ন,কর্তব্যপরায়ণ,চরিত্রবান, আত্ননির্ভরশীল, বিনয়ী ও সৎসাহসী করে গড়ে তুলবে। আদর্শ বাস্তবায়নেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের মুকুল নিকেতন। মুকুল কলিদের পূর্ণঙ্গ পুষ্পে রূপান্তরিত করার লক্ষে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপশি এখানে রয়েছে শৃংখলা,নিয়মানুবর্তিতা, শরীরচর্চা, ক্রীড়া,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। সর্বোপরি প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠার জন্য কঠুর অনুশীলন।
বিদ্যায়তনের শিক্ষক-শিখ্ষিকা এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে মাত্র কয়েক যুগের মধ্যে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। মুকুল নিকেতন আজকের অবস্থানে আসার পিছনে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা,অভিবাকমন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিক সহযোগিতা।
বিদ্যালয়ে রয়েছে ০৩ (তিন)টি ছাত্রাবাস, দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছাত্ররা এতে আবাসিক লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে।‘শিক্ষার সুযোগ সকলের জন্য’-এই মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধনী-দরিদ্র,উচ্চবিত্ত-নিন্মবিত্ত, সরকারি-বেসরকারি, প্রান্তিক কর্মজীবী জনগণের সন্তানেরা একযোগে শিক্ষাগ্রহণ করছে। সে কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীর চাইতে গড় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংখ্যাধিক্য থাকায় পিএসসি. জেএসসি. এসএসসি-সহ যে কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা যাতে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হতে পারে সে বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী বেশি সচেষ্ট থাকেন-এটি জোর দিয়ে বলতে পারি।
২০১৫ সালের শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করে আরো ভালো ফলাফলে আশায় আমরা নব উদ্দীপনায় সামনের দিকে এগিয়ে যাবো-এই আশা ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মোঃ সামছুল আলম
প্রধান শিক্ষক
মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়
ময়মনসিংহ।